স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় দুষ্কৃতকারীর আস্কারায় প্রায় দুই যুগের বেশী সময় ধরে নিছক একটি সমবায় সমিতির সাইনবোর্ডর আড়লেই ছদ্মবেশী একটি চক্র চালিয়ে আসছে উচ্ছেদ, জবরদখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সর্বপরি ভুমিদস্যুতা। হুমকি ধমকি ও আটক রেখে মারধর, এমনকি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিটেমাটি লিখে নিয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগ এ চক্রটির বিরুদ্ধে। এমনি অনেক অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ঘোষকান্দার স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান মুন্সী নামক জনৈক ভুক্তভোগী। আর অভিযোগের তীর দক্ষিন কেরানীগঞ্জের বনগ্রাম তেঘরিয়ার এলাকায় ভুমিদস্যুতার নেপথ্যে ঘেরা প্রতিষ্ঠানটি “আল-মুজাহিদ বহুমুখি সমবায় সমিতি লি:” এর বিরুদ্ধে এবং ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি মোতাহার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।
শাহজাহান মুন্সী অভিযোগ করেন বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে তার কাছে ২০ (বিশ) লাখ টাকা চাদা দাবি করে মোতাহার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন চক্রটি। চাদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চক্রটি বাড়ি নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মারধর করে তার নির্মাণাধীন বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। বাড়ির কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল প্রবেশে বাধা সহ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাকে মারাত্বক ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট সহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন ভুক্তভোগী শাহজাহান মুন্সী। প্রশাসনের দারস্থ হওয়ায় ভুক্তভোগীর উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে চক্রটি। একই সাথে স্থানীয় প্রশাসনসহ এলাকার কিছু দুস্কৃতকারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে নতুন করে শাহজাহান মুন্সীকে এলাকা ছাড়া করতে মরিয়া হয় উঠে চক্রটি।
থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে বরাবরের মত গড়িমশি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অভিযোগ আছে প্রশসনের অবৈধ সুবিধা নিয়ে নিরবতার আস্কারায় চক্রটি হয়ে উঠেছে-আরো বেপরোয়া। তাছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করায় তারা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন।
আর তাতে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ফের ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়েছে পড়েছে। এ ব্যাপারে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা থেকেও কোন সদুত্তোর মিলেনি। প্রশাসনের বক্তব্য স্থানীয় পাশের জমির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে “আল-মুজাহিদ সমবায় সমিতি” শাহজাহান মুন্সির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কোন ক্ষমতাবলে সমিতি কাজ বন্ধ করে দেয় এমন প্রশ্নের কোন জবাব পাওয়া যায়নি থানা পুলিশের কাছ থেকে। সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেনের সাথে মোবাইলে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে ফোনটি কেটে দেন।