চট্টগ্রামে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
মো কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিনিধ
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৮ জন সমন্বয়কদের জন্য ৩ হাজার টাকা করে প্রতিদিন চাঁদা দাবি করেছেন সোহেল রানা নামে এক ছাত্র সমন্বয়ক।
জানা গেছে, ডাবলমুরিং থানাধীন পান্নাপাড়া হাড্ডি কোম্পানির মোড়ের এক ছাগল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা করে চাদা দাবি করেন ছাত্র সমন্বয়ক নামধারী রানা । সোহেল রানার মোবাইল কল রেকর্ডিং থেকে জানা যায়, তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের ছাত্র সমন্বয়কদের প্রধান বলে পরিচয় দেন। এ সময় তিনি বলেন ১৮ জন সমন্বকদের প্রধান বলে নিজেকে দাবি করেন। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি বিগত সময়ের প্যাসিবাদ সরকারকে আমরা দেশ থেকে তাড়িয়েছি আমরা যা বলব তাই হবে। দেশে আমাদের কথা না শুনলে এদেশে আমরা তাদেরকে থাকতে দিব না।
থানা পুলিশ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কে আমরা যেটা বলবো সেটাই হবে। আমাদের কথা না শুনলে তারা সেখানে চাকরি করতে পারবে না।
পান্নাপাড়ার ছাগল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন নিরীহ গরীব ছাগল ব্যবসায়ী একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আমার কাছে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আমি তাদের এই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে থানা থেকে পুলিশ এনে হয়রানি করছে।
ওই সমন্বয়ক নামধারী থানা পুলিশকে বুঝিয়েছেন আমি এখানে জুয়ার বোর্ড চালাই। থানা পুলিশ এসে যাচাই-বাছাই করে তারা দেখেছেন এখানে ছাগল ছাড়া আর অন্য কোন কিছুই নাই।
এ সময়ে ছাগল ব্যবসায়ী মো. ইসলাম বলেন, আমার এলাকার কিছু মানুষের সঙ্গে আমার পারিবারিক কিছু শত্রুতা আছে যে কারণে তারা বিভিন্ন লোক দিয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে, তারা আমার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে প্রশাসন এনে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। ছাগল ব্যবসায়ী ইসলাম আরো বলেন,
আমাকে জুয়া ব্যবসায়ী বানিয়ে আমার কাছ থেকে প্রতিদিন তিন হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে এবং প্রশাসন দিয়ে নানানভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আমার ছাগল ব্যবসার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এবং আমার পরিবারকে বিপদে ফেলতে এই ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ক্ষতি করছে। আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এবং এবিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।