Home আইন-অপরাধ বিভিন্ন সরকারি জায়গা দখল করতে গিয়ে নির্ঘুম রাত ভূমিদুর্ষদের

বিভিন্ন সরকারি জায়গা দখল করতে গিয়ে নির্ঘুম রাত ভূমিদুর্ষদের

0

বিভিন্ন সরকারি জায়গা দখল করতে গিয়ে নির্ঘুম রাত ভূমিদুর্ষদের

মো কামরুল ইসলাম,চট্টগ্রাম প্রতিনিধ 

লোহাগাড়া ডলু বিট কর্মকর্তা ও এ,সি, এফ দুইজনের সমন্বয়ে এবং যোগসাজশে বিভিন্ন পাহাড়ি জায়গা দখলে নিয়ে ‘দালান তৈরি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র । সাংবাদিক ও পদুয়া রেঞ্জার দিনের যেই কোন সময় পরিদর্শনে যাওয়ার কারণে সাংবাদিক ও রেঞ্জারের হাত থেকে রক্ষা পেথে দিনের বেলায় কাজ বন্ধ রাখলেও,রাতের বেলায় নির্ঘুম রাতের আঁধারে চলে নির্মান কাজ ও পাহাড় কাটার কাজ সাংবাদিক এই বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম ডিপো মামুন ভাইয়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে জানান তিনি আরও বলেন এসিএফ দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল নাম্বার টা নেন উনার সাথে যোগাযোগ করুন কিন্তু অনেক কষ্ট করেও এসিএফের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয় পদুয়া অস্থ অফিসে গিয়ে ও তাকে পাওয়া যায়নি। লোহাগাড়া উপজেলার ডলু বিটের আওতাধীন পাহাড়ি সম্পদ রাতের অন্ধকারে বিলীন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে ভূমিদুর্ষরা এবং ডলু বিট কর্মকর্তা এবং এ,সি,এপ এই বিষয়ে আরও জানাযায় ডলু বিটের আয়ত্তাধীন নারিচ্চা, সাতরআগা সহ বিভিন্ন পাহাড় কেটে যেমন মাটি নিয়ে যাচ্ছে তেমন পাহাড় কেটে সমান করে ঐ জায়গায় বসত বাড়ি নির্মাণ করেছে। শুধু ডলু বিট কর্মকর্তা নয় লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার ভূমির বিরুদ্ধে ও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন শাহ জব্বারিয়া সড়কের সেতুর পাশে চুনতি রাজার খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনার কাজে ব্যস্ততা সময় পার করছেন প্রভাবশালী ভূমিদুর্ষ চক্র । এভাবে খাল দখল হয়েগেলে বর্ষায় লোকালয় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে অনেকে। এই অভিযোগ গুলো পাওয়ার পর সরেজমিনে দেখতে যায় উক্ত প্রতিনিধি , পরিদর্শন শেষ করে চুনতি রাজার খালটি পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে বেশ কয়টি গ্রাম অতিক্রম করে আধুনগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে চুনতি বাজার, সুফিনগর, মিরিখিলসহ ১০ গ্রামের পানি প্রবাহিত হয় এ খাল দিয়ে। এমন গুরুত্বপূর্ণ খালটি রাতের আঁধারেই দখল করে নিচ্ছে প্রভাব শালী ভূমিদুর্ষ একটি মহল নির্মাণ করেছে দালান । খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে বর্ষা মৌসুমে বাজার এবং পাশের হিন্দুপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে আধুনগর ইউনিয়নের রশিদার ঘোনা এলাকার বাসিন্দা মনজুর আলম ও নুরুল আবছার দালান নির্মাণ করছেন। দিনের বেলায় স্থাপনা নির্মাণের কাজে ধীরগতি হলেও সন্ধ্যা নামলে পুরোদমে কাজ শুরু হয়। লোকজনের দৃষ্টির আড়াল করতে উভয় পাশে টিনের ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন খাল দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করলে তাদের উল্টো বিভিন্ন মামলা ও হামলার হুমকি দিচ্ছে এই মহলটি বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় জনসাধারণ। স্থানীয় মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা ইমতিয়াজ উদ্দীন আহামদ জানান, অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, উপজেলা প্রশাসন অদৃশ্য কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন।পশ্চিম চুনতি হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা উজ্জ্বল দে বলেন, ‘স্থাপনাটি নির্মাণ করা হলে আমাদের হিন্দুপাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পাড়ার মানুষের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।’ তিনি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে ও পাওয়া যাচ্ছে না হস্তক্ষেপ । অভিযুক্ত মনজুর আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের দু-ভাইয়ের নামে খতিয়ানভুক্ত। একটি স্বার্থন্বেষী মহল বি়ভিন্ন অভিযোগ এনে হয়রানি করছে।’ তবে খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এই ঘটনার মুল নায়ক মঞ্জুর । চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার দাশ বলেন, ‘খালের জায়গা এভাবে দখল করে এইভাবে দালান তৈরি হলে বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি পাড়ায় জলাবদ্ধতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবার আশঙ্কা রয়েছে। খালটি অনেক পুরনো, এটি রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের।’লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইনামুল হাসানের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধি , ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ( ইউএনও) । ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version