কুতুবদিয়ায় ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি
কুতুবদিয়ায় সৎ ছেলে ও নাতির নির্যাতনের অভিযোগ ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা লায়লা বেগম। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের শাহারুম সিকদার পাড়ার সিরাজুল হকের দিত্বীয় স্ত্রী। ভোক্তভোগী ৬৫ বছর বয়সী লায়লা বেগম বলেন, বিগত ৩/৪বছর পুর্বে সিরাজুলহকের ১ম স্ত্রী প্যারালাইজিড কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে বিয়ে করেন, এতদিন সুখে শান্তিতে থাকলেও গত ১বছর থেকে আমার স্বামী অসুস্ত হয়ে পড়লে আমাদের সৎ পুত্র বশির আহম্মদ ও নাতি মৃত শফি উল্লাহর পুত্র সিদরাতুল মুনতাহী জায়গা সম্পতি ভাগবাটোয়ারা করতে চাপ প্রয়োগ করে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত গালিগালাজ সহ মারধরের হুমকি দিতে থাকে।এবিষয়ে স্থানীয় শালিসী বৈঠকে বসে একটা সিন্ধান্ত হয় আমার স্বামী যতদিন বেচেঁ থাকবে সম্পক্তি ভাগবাটোয়া হবে না,ওনি মারা যাওয়ার পর সম্পক্তি ভাগ করে দেওয়া হবে। এ সিন্ধান্ত সৎ পুত্র শুক্কুর ও মৌলানা ছলিম উল্লাহ মানলেও বশির এবং সিদরাত ওই বিষয়ে না মেনে আমার কাছে বারবার টাকা দাবি করে এবং আমাদের চাষাদের জমি চাষে বাধা প্রধানসহ আমাকে নানা গালিগালজ হুমকি ও জমি ভাগ করার জন্য চাপ দিতে থাকে,এতে আমরা দুই বৃদ্ধা মানুষ কিভাবে দিনপাত করব আমার স্বামীর কিছু জায়গা সম্পদের লাগিয়তের টাকা দিয়ে কোন মতে দিনপাত করি তা দিয়ে আমাদের চিকিৎসা ও খাওয়াদার টাকার সংকট হয়, এবয়সে ভারণপোষনের খরচ না দিয়ে উল্টো আমাদের প্রতি অত্যাচার ও টাকা দাবি করে জায়গা জমি ভাগ করে আমরা দুইজন বৃদ্ধা মানুষকে বেকায়দায় পেলাতে চাই। আমি বৃদ্ধা মানুষ কেউ আমার কথা শুনে না,তারা আমাকে সব সমময় হুমকি ধুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিতে চাই।
এদিকে সিরাজুলহকের পুত্র মৌলানা ছলিম উল্লাহ বলেন, ৪বছর পুর্বে আমার মায়ের অসুস্থার কারণে সৎ মা লায়লা বেগমকে বিয়ে করেন।তিন বছর আগে আমার মা মারা যায়। গত ১বছর ধরে আমার পিতা অসুস্ত হয়ে পড়লে আমার ভাই বশির ও আমার ভাই মৃত্যু শফি উল্লাহর পুত্র সিদরাত সম্পত্তি ভাগ করার জন্য চাপ দেয়। এতে সামাজিক শালিশী বৈঠকে বলা হয় আমার পিতা যতদিন বেচে থাকবে ততদিন সম্পত্তি ভাগহবে না, তার মৃত্যুর পর সব সম্পত্তি ভাগবাটোয়া করা হবে বলে একটি সিন্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফোরকান বলেন,বিষয়টি অনেকবার মিমাংসা করেছি,মুলত পিতা বেচে থাকতে পুত্ররা জায়গা জমি ভাগবাটোয়া করে নিতে চাই।